ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ , ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে শঙ্কা কবিরাজের কাছে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ দেশজুড়ে অপরাধ বাড়াচ্ছে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র দখলদারদের লোভের শিকারে খুলনা বিভাগের ৩৭ নদী সংকটাপন্ন প্রবাসীর স্ত্রীসহ আটক শিবির সেক্রেটারিকে স্থায়ী বহিষ্কার চাঁদপুরে রঙিন সুতোয় জামদানি তৈরিতে সাড়া ফেলেছেন রনি চিলমারীর চরে স্বপ্ন বুনছেন হাজারও ভূমিহীন কৃষক লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি প্রশংসায় ভাসছেন গাংনীর ইউএনও প্রীতম সাহা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ভারতীয় বাসমতি চাউল জব্দ মতলবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখী চাষ দুর্ভাগ্য কাটছেই না ম্যানসিটির বিশ্রাম ছাড়া ম্যাচ খেলবে না রিয়াল জোড়া গোল এমবাপের, ভিয়ারিয়ালের সাথে জয় পেলো রিয়াল এবার আইপিএলকে টেক্কা দিতে আসছে সৌদি লিগ অবসরের ইঙ্গিত দিলেন বিরাট কোহলি নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তা পেলোনা পাকিস্তান বাংলাদেশ সফরে আসছে প্রোটিয়া ইমার্জিং দল আপাতত শেষ হচ্ছে না ফিল সিমন্স অধ্যায়

চিলমারীর চরে স্বপ্ন বুনছেন হাজারও ভূমিহীন কৃষক

  • আপলোড সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:১৬:২০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:১৬:২০ পূর্বাহ্ন
চিলমারীর চরে স্বপ্ন বুনছেন হাজারও ভূমিহীন কৃষক
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে উঠা চরে স্বপ্ন বুনছেন ভূমিহীন হাজারও কৃষক। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে আবাদ করা মতো নিজের জমি বলতে কিছুই নেই। এরপরও আবাদ করে অন্তত নিজের খাওয়ার জন্য শাক-সবজি ও অন্য কিছু ফলানো ইচ্ছা করে।
আমাদের সেই ইচ্ছাটা পূরণ করেছে বাড়ীর পাশে জেগে উঠা ব্রহ্মপুত্র নদের চর। প্রতি বছর নদের সেই চরে আমরা আলু, পিয়াজ, রসুন, ভুট্টা, ডাল, শাক-সবজি ও মিষ্টি কুমড়াসহ এমনকি ইরি-বোরো ধানও চাষ করে আসছি। আর সেই ফসলেই কিছুটা হলেও নিজের চাহিদা পূরণ হয়। অনেক সময় বিক্রি করে থাকি। এ কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার রাজার ভিটা এলাকার অধিবাসী মো. কেরামত আলী। একই এলাকার আবুল হোসেন ও ফুল মিয়া জানান, গত বছরও নদের চরে আলু আবাদ করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করে পরে বিক্রি করেছি।
বেশ কিছু টাকাও পেয়েছি। কিন্তু এবার বীজের দাম বেশি ছিল। সেই তুলনায় আলুর দাম নেই। তাই আলুতেই উৎপাদন খরচই উঠছে না। তারপরও নিজের চাহিদা পূরণ হওয়ায় খুশি এই দুই কৃষক। কারণ অন্যান্য ফসলে লাভ হয়েছে তাদের। চিলমারীর রাজার ভিটা ছাড়াও পাত্রখাতা, গুড়াতি পাড়া, পুটিমারী কাজলডাঙ্গা এলাকায় জেগে উঠা চরে কুষকরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ইরি-বোরো চাষ করে ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্ন দেখছেন। এক সময়ে যাদের অনেক জমি-জমা ছিল কিন্তু নদী গর্ভে বিলিন হয়ে এখন তারা ভূমিহীন। তাই নদের বুকে জেগে উঠা চরই তাদের একমাত্র অবলম্বন। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে জেগে উঠা চরে কৃষকরা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন, কেউ জমিতে জৈব সার দিচ্ছেন আবার কেউ মাটি সমান করছেন। নারী শ্রমিকরাও দল বেঁধে বেরো ধান ক্ষেতে নিরানীর কাজ করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষান দাস জানান, নদী চরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন করায় বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে এবং লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য